স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, এ ঘটনায় আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। তবে পুনঃতদন্তের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতের এখতিয়ার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকোর্টে জানায়, পিলখানার ঘটনায় বিচারাধীন দুটি মামলা থাকায় নতুন কমিটি গঠন করলে তা সাংঘর্ষিক হতে পারে। এ নিয়ে হাইকোর্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেও, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপাতত তা স্থগিত রেখেছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, কমিটি গঠন করার এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আইন মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার ও দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবার স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নতুন কমিটি গঠন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তে দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার প্রয়োজন। আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার এ ঘটনার বিচারে গড়িমসি নিয়ে সমালোচনা করেন এবং মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভিকটিম পরিবারের জমায়েত শেষে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা ও ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।